আহার ও পানাহারের নিয়ম
আহার ও পানাহারের নিয়ম নিয়ে আজকের পোস্ট বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। পরম করুনাময় অসীম দয়া্লু আল্লাহর নামে শুরু করছি। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, (তুমরা খাও এবং পান করও কিন্তু অপচয় করোনা)। নিম্নে আহার এবং পানাহারের নিয়ম বর্ণনা করা হল।
হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা) এর পানাহারঃ
তিনি বলেন, “যখন আমি মুসলমান হয়েছি, তখন থেকে পেঠ ভরে আহার করিনি, যা’তে আমি আপন প্রতিপালকের ইবাদতের স্বাদ পাই। আর যখন আমি মুসলমান হয়েছি তখন থেকে তৃপ্ত হয়ে পানি পান করিনি; কারণ, আমি আপন আপন প্রতিপালকের সাক্ষাতে আগ্রহী”।(মুকাশাফাতুল কুলুব)
বেশী পরিমানে পানাহার করা শয়তানের আস্ত্রঃ
হযরত ইমাম গাযযালী (রা) লিখেছেন, “কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালার নিকটতর ঐ ব্যক্তি হবে, যে ক্ষুধা ও পিপাসার যন্ত্রনা সহ্য করেছে। সুরাং বুদ্ধিমান লোকের কাজ হচ্ছে, সে উপবাস যাপন করে ‘প্রবৃত্তির তাড়নাগুলু’ কে নিঃশেষ করে দেয়। উপবাস আল্লাহর দুশমন শয়তানের জন্য একটা গযব। পক্ষান্তরে, কুপ্রবৃত্তিগুলো এবং অধিক পানাহারই শয়তানের হাতিয়ার। আদম সন্তানের জন্য সর্বাপেক্ষা মারাত্মক হচ্ছে- সে যদি পেটের ইচ্ছার পেছনে লেগে থাকে। প্রবৃত্তির তাড়না বাদশাহকে গোলাম বানিয়ে ছাড়ে। আর ধৈর্য গোলামদেরকেও বাদশাহ বানিয়ে দেয়।(মুকাশাফাতুল কুলুব)
বেশী আহার করলে অন্তর কঠিন হয়ে যায়ঃ
কম ঘোমালে মনোবল সুদৃঢ় হয়, কম আহার করলে বিপদাপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায় এবং লোকজনের দিক থেকে প্রাপ্ত কষ্ট সহ্য করার কারনে লক্ষ্য বস্তুর দিকে অগ্রসর হওয়া যায়। কম খেলে কুপ্রবৃত্তির মৃত্যু ঘটে। কারন, বেশী খেলে অন্তর পাষান হয়ে যায়। উপবাস যাপন হচ্ছে ‘হিকমত’ বা প্রজ্ঞা অর্জনের পথের আলো। আর পেঠ ভরে পানাহার মানুষকে আল্লাহ তায়ালা থেকে দূরে সরিয়ে দেয়।
# পরিশেষে বলা যায়, অধিক পানাহার ও আহার থেকে বিরত থাকা আল্লাহ ও নবী রাসুল (স) এর বিধান। অলসতার জীবন পরিহার করে সুস্থ সবল হয়ে জীবন যাপন করা প্রত্যেক মুসলমান নর এবং নারীর একান্ত কর্তব্য। অধিক আহার বা পানাহার অলসতার কারন। অধিক আহার বা পানাহার মানুষকে পরিশ্রম করা থেকে বিরত রাখে। তাই পরিশ্রম করে সফলতা অর্জন করা আমাদের একান্ত প্রয়োজন।
পরিশ্রম ছাড়া ফল হবেনা ভাল
পরিশ্রম করিলে তবে জীবন হবে আলোকিত
ধন্যবাদ
ইসলামিক গল্প
Beautiful content
Subhan allah
Thanks
Thanks and stay Read Stories