ইলাহী অবস্থা, জন্মগত স্বভাব ও শয়তানী খাছলাতের
মধ্যকার পার্থক্য
রব্বানী অবস্থা, স্বভাবগত অবস্থা এবং শয়তানী প্রকৃতির মধ্যে পার্থক্য জ্ঞান লাভ করা অত্যাবশ্যক যাতে বস্তুর ক্ষেত্রে উহাদের মধ্যে পার্থক্য করা সম্ভব হয়।
হাজারাতে সূফীয়ায়ে কেরাম বলেছেন, ধর্ম সংগীতের দাবীদারের তিনটি অবস্থা আছে।
(১) প্রথম অবস্থা যা সংগীতের সামান্য কিছুর উপর সীমাবদ্ধ। উহা এই যে, মানুষের মধ্যে যখন সত্যের ধারণা সৃষ্টি হয় তখন তার রূহ (আত্মা) উহার সাথে লিপ্ত হয়ে যায় এবং অংগ প্রত্যংগও উহার অনুগত হয়ে যায়, কিন্তু স্বভাব ও মেজায উহা থেকে বিচ্ছিন্ন ও বিকৃত হয়ে যায়। কেননা, শরীরের রক্ষক রূহ শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ইলহামকৃত বিষয়ে লিপ্ত হয়ে যায়।
যখন উহা থেকে মালাকী নূর হটে যায় তখন এমন অবস্থার অধিকারী হয় যেন তাকে রশি দিয়ে আটকান হয়েছে। সালেকের এ অবস্থাকে হালাতে মুহাদাসা বলে । আল্লাহ পাকের অলীদের জন্য এ অবস্থার মধ্যে বিভিন্ন চাহিদা ও রুচি নিহিত আছে।
(২) দ্বিতীয় অবস্থা হলাে, মানুষের অবস্থা যখন কঠিন হয়ে যায় এবং পঞ্চইন্দ্রিয়ের অনুভূতি থেকে গায়ব (অদৃশ্য) হয়ে যায় এমতাবস্থায় তার মধ্যে এমন জ্ঞান উদ্রেক হয় যা সে ঐ সময় হৃদয়ঙ্গম করতে পারে অথবা ইন্দ্রিয় অনুভূতির দিকে ফিরে আসার পর বুঝতে পারে এবং উহাকে আল্লাহ পাকের দানকৃত ইবাদত হিসেবে ব্যাখ্যা করতে পারে তাহলে এ অবস্থাকে ইলাহী অবস্থা হিসেবে গণ্য করা যাবে ।
হুশ আসার পর উহা তার অন্তরকে ভরে দিবে। আর যদি সে অচেতন হয় অতঃপর চেতনার দিকে ফিরে আসে এবং কোন কিছু না পায়, তবে সে কিছুটা ঐশী কল্যাণ প্রাপ্ত হয় কিন্তু উহাতে পূর্ণ ফায়দা না হয় এবং উহা তা থেকে অদৃশ্য হয়ে যায় তাহলে এ অবস্থা তার মেজায় থেকে সঞ্চারিত।
যেহেতু কলবকে জিকরের দ্বারা যিন্দা করা হয়েছে অথবা কলব জিকরের ধ্যানে নিবদ্ধ যদ্বরুন তার আকল। বঞ্চিত এবং রূহে হায়ওয়ানী চলমান অবস্থা থেকে বাধাপ্রাপ্ত এবং ঐ ব্যক্তি মল্লযুদ্ধে পরাজিত ব্যক্তির ন্যায় নিক্ষিপ্ত।
এ অবস্থা সাধারণ। তবে স্বভাবগত মেজায থেকে উদগত বিধায় উহাতে কোন ফায়দা নেই। এ অবস্থায় ব্যক্তি প্রায় সময় খােলা আকাশ বা মেঘ বা বাগান বা স্থলভাগ বা সমুদ্র ইত্যাদি দেখতে পায়। আর এটাই হলাে শরীরের তাপ।
অধিকারী এবং স্বীয় নফসের সাথে আলাপকারী ।
দিতে পারে, কিন্তু সে তােমার প্রতি কিছু ঢালতে পারবে না। কেননা সে এমন কাওকে পাবেনা
والمنظور وانا المساجد والمسجود وانا الذاكر والمذكور.
পেশ করতে যিনি সত্য সম্পর্কে তােমাকে অবহিত করার ক্ষমতা রাখেন।
অতএব, হে সালেক! তুমি বেশী বেশী আল্লাহকে স্মরণ কর। বেশী বেশী আয়াতুল কুরসী পাঠ কর, সূরা ফালাক ও সূরা নাছ, সূরা ফাতেহা ও তাছমিয়া এবং ইস্তেগফার পাঠ কর।
না একমাত্র পূর্ণ ফানা হওয়া ব্যতীত। কেননা, মুশাহাদার ভেদ হতভম্ব হওয়ার মধ্যে নিহিত, কাশফের ভেদ ইলমের মধ্যে নিহিত,