ইসলামিক দুটি গল্প

0
1006

ইসলামিক দুটি গল্প-১

ইসলামিক দুটি গল্প – আসসালামু আলাইকুম । আশাকরি, সবাই ভাল আছেন।

এক আনসারীর এক দাসীর নাম ছিল বারীরা । সে প্রায়ই হযরত আয়শা (রা) এর নিকট আসা যাওয়া করত।

একবার সে তার মুনিবের সাথে মুকাতাবা করেছিল। অর্থাৎ নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে আযাদ/ স্বাধীন হওয়ার চুক্তি করেছিল। ফলে, সে মানুষের কাজ কর্ম করত।  এবং উপার্জনের অর্থ বা পারিশ্রমিক লব্দ অর্থ মনিবকে পরিশোধ করত। এক সময় সে তার মনিবের সাথে চুক্তির কথাটি হযরত আয়শা (রা)- কে জানাল ।

যারফলে হযরত আয়শা (রা) তার চুক্তির সকল অর্থ নিজের পক্ষ থেকে পরিশোধ করেন। এবং তাকে ক্রয় করে নেন পরে সাথে সাথে তাকে আযাদ করে দেন।

মনিবের কাছে দাসী থাকাকালীন মুগীস নামে এক ঘোর কালো দাসের সাথে তার বিবাহ হয়েছিল। হযরত আয়শা (রা) বারীরাকে আযাদ করলেন, রাসূলুল্লাহ (স) তাকে মুগীসের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক রাখা না রাখার এখতিয়ার প্রদান করেন। পরবর্তীতে অবশ্য মুগীসও আযাদী লাভ করেন।

ইসলামিক গল্প- ২

অলস মাছ ও বুদ্ধিমতি মেয়ে

অলস মাছসমূহ ও বুদ্ধিমতি মেয়েঃ এক বুযর্গ ব্যাক্তির জীবন চরিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তিনি মাছ শিকার করছিলেন। তাঁর সাথে, তাঁর ছোট্ট মেয়েটিও বসা ছিলো।

তিনি যেই মাছটি শিকার করছিলেন। সেটা তাঁর মেয়েকে রাখতে দিচ্ছিলেন। কিন্তু মেয়েটি তাঁর পিতার নিকট থেকে মাছ নিয়েই তা সমুদ্রে ছেড়ে দিচ্ছিলো।

হযরত যখন মাছ ধরা শেষ করলেন। তখন মেয়েকে বললেন, “ বৎস! মাছগুলো কোথায়?” তাঁর প্রতি উত্তরে সে বলল, “ আব্বাজান! আমাইতো ওসবটিই সমুদ্রে ফেলে দিয়েছি।

ইসলামিক গল্প- অলস মাছসমূহ ও বুদ্ধিমতি মেয়েঃ

হযরত বললেন, “ তুমি একি করলে? সম্পূর্ণ মেহনতই বিনষ্ট করে দিলে! ” সে বললো, আপনিইত বললেন, যে মাছটি ( আযযা ওয়া জাল্লার) যিকির থেকে উদাসীন হয়ে যায়। সেটা জালে আটকা পড়ে।

সুতরাং আপনি যেই মাছগুলো ধরেছিলেন, আমি মনে করেছিলাম যে, ঔই মাছগুলোই তো আল্লাহর যিকির থেকে গাফিল হয়েছে। আর একারণেই তো ধরা পড়েছে। সুতরাং ঔই গাফিল মাছগুলো খেয়ে সেগুলোর সংস্পর্শে কখনো আবার আমরাও আল্লাহর যিকির হতে গাফিল হয়ে যাই কিনা?

এ ধারণায় ঔ সবকটি মাছই আমি পুণরায় সমুদ্রে ফেলে দিয়েছি। (নুযহাতুল মাজালিস)

ধন্যবাদ

ইসলামিক গল্প

Leave a Reply