নফসের সাথে জিহাদ

শাবান মাসের নেয়ামত

0
941
নফসের সাথে জিহাদ
নফসের সাথে জিহাদ

নফসের সাথে জিহাদ

নফসের সাথে জিহাদ একথা সত্য যে, নফসের মােট ৪টি মূলকেন্দ্র রয়েছে।

بيان الجهاد بالنفس)

১। শরীয়তের বিরােধীতার কামনা বাসনা,

(২) আনুগত্য ও ইবাদত না করার কামনা-বাসনা,

(৩) আরাম শান্তি ও ভােগ বিলাসের প্রতি আকর্ষণ ও

(৪) ফরজ কাজগুলাে আদায়ের ক্ষেত্রে অপারগতা ও উদাসীনতা। আল্লাহ পাক বলেন, তােমরা মুশরিক (অত্যাচারী নাফরমান) দেরকে হত্যা কর, যেখানে পাও পাকড়াও কর, ধৃত কর এবং এ উদ্দেশ্যে সুযােগ স্থলে ওঁৎপেতে বসে থাক।

তাত্মিক ও আধ্যাত্মিক- নফসের সাথে জিহাদ । Nofser sathe Jihad

তাত্মিক ও আধ্যাত্মিক লােকজন বলেছেন, তুমি যদি নফসের সাথে লড়াই করতে ইচ্ছা কর তাহলে তাকে সর্বদা সর্ব কাজে ও কথায় সঠিক জ্ঞান অর্জনের নির্দেশ দাও এবং প্রতিটি চিন্তা চেতনায় তাকে ভয়ভীতির হুমকি দাও, আর তুমি যেখানেই থাকনা কেন তাকে মহান আল্লাহর মুঠায় বন্ধি কর । যখনই তােমার নফস উদাসীন হয়ে যাবে তখনই তুমি তার বিরুদ্ধে আল্লাহ পাকের দরবারে অভিযােগ দায়ের কর। কেননা, নফস এমন চীজ যাকে কন্ট্রোল করার ক্ষমতা তােমাদের নেই। এমতাবস্থায় তােমাদের সঠিক কলাণার্থে তাকে কোন প্রকার জি/&রে আবদ্ধ করে দিতে য় তাহলে তােমাদের উচিত মহান আল্লাহর এ অনুগ্রহকে স্মরণ করা এবং এ না৷

سبحان اللي سار ا ما وما كنا له بدر لاین، زحف ۱۳)

অর্থঃ পবিত্র সেই মহান আৱাহ যিনি এসব কিছু আমাদের নিয়ে করে দিয়েছেন, আমরা কিন্তু এ নিয়ণে সক্ষম নই। আল্লামা শালী (রহঃ) বলেন, নফসের শীর্ষ স্থান বা মস্তক হলাে উহার ইহা, উহার হাত হলাে উহার ইম, ও আন, আর উহার পদষয় হলাে উহারকার্য প্রণালী ও অবলম্বন তৎপরতা।

তিনি বলেন, নফসের মৃত্যু হলো শরীয়তের আন ও হিকমত অর্জন করা এবং কিতাব ও সুন্নাহর পূর্ণ অনুসরণ ও অনুকরণ করা। তিনি বলেন, মহান আল্লাহর নৈকট্য সমূহের মধ্যে সবচাইতে বড় নৈকট্য হলাে নফসের ইচ্ছা ও উদ্দেশ্যকে জলাঞ্জলী দিয়ে তার থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া এবং তার চাহিদা ও কামনা সমূহ থেকে দূরে সরে আসা।

মানুষের মধ্যে সবচাইতে দুর্ভাগা ঐ ব্যক্তি, যে এটাই পছন্দ করে যে, সকল মানুষ তার সাথে তার ইচ্ছা অনুযায়ী আচরণ করুক, কিন্তু তার ইহার কোন কিছু সে তার নফসের মধ্যে পায়না। সুতরাং হে সালেক। তুমি মানুষকে সম্মান করবে এবং মানুষের নিকট থেকে সম্মানের আশা করবেনা আর স্বীয় নফস ব্যতীত অন্য কাউকে কষ্ট দিবেনা। এ দাবীই তুমি তােমার নফসের নিকট পেশ কর।

নফসকে আয়ত্বে রাখা

তিনি আরাে বলেন, ইবাদত বন্দেগী, জিকর আজকার ও তেলাওয়াত ও মুনাজাত ইত্যাদির ক্ষেত্রে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ও কঠিন বিষয় হলাে নফসকে আয়ত্বে রাখা, হুজুরে কলব, অর্থ ও মর্মের প্রতি লক্ষ্য রাখা। শব্দকে যথাস্থান থেকে উচ্চারণ করা এবং এসবের সাথে মহান আল্লাহর সমষ্টি লাভের ইচ্ছা থাকা যাকে এখলাছের মর্যাদা হিসেবে গণ্য করা হয়। আর আমলের ক্ষেত্রে উত্তম পন্থা অবলম্বন করা যাকে সততার মর্যাদা হিসেবে গণ্য করা হয়। এ ছাড়া স্বীয় ধ্যান ও খেয়ালকে দুনিয়া ও দুনিয়ার যাবতীয় গন্ডি হতে পবিত্র করে মহান আল্লাহর দিকে রুজু হওয়া যাকে নিয়তের মর্যাদায় আখ্যায়িত করা হয়।

তিনি তাঁর উস্তাদ থেকে বর্ণনা করেন, মানুষের নফস গুলাে মােট তিন প্রকার। (১) এমন নফস (আত্মা) যা সম্পূর্ণ স্বাধীন, ক্রয় বিক্রয়ের অযােগ্য (২) এমন নফস যার উপর ক্রয় বিক্রয় সংঘটিত হয় যেহেতু উহা দাসত্বের শৃংখলে আবদ্ধ। (৩) এমন নফস যা পরাধীন বটে কিন্তু উহার নিকৃষ্টতার দরুন তার উপর ক্রয় বিক্রয় সংঘটিত হয় না। প্রথম প্রকারের নফস হলাে নবী রাসূলগণের নফস, দ্বিতীয় প্রকারের নফস সাধারণ মুমিনগণের নফস। এবং শেষােক্ত নফস কাফেরদের নফস। আমি জিজ্ঞেস করলাম, হুজুর! হজরত আবু বকর ও হজরত উমর থেকে ইসলাম পূর্ব যুগে শিরক প্রকাশ পেয়েছিল।

তিনি উত্তর দিলেন, তাঁদের নফস স্বাধীন, তাদের অবস্থা ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে বন্দি হয়েছে কিন্তু মূলতঃ সে স্বাধীন। এবং তৌহিদ, ঈমান, মারেফত ও মহব্বতে ইলাহীর উপর দৃঢ় থাক। কথার মর্মে তিনি বলেন, মুমিন বান্দার নফসকে উহার অবৈধ কামনা বাসনা। চরিতার্থ করে অপমানিত করেনা। তিনি বলেন, কৃপণতার দোষে ঐ ব্যক্তি। তিনি বলেন, আমি আমার নফসের কল্যাণ ও উপকার লাভ থেকে নৈরাশ হয়ে গেছি। সুতরাং অন্যের উপকার ও কল্যাণ লাভ থেকে কেন নৈরাশ হবােনা? আমি মহান আল্লাহকে অন্যের জন্য আশা করি। এমতাবস্থায় তাকে আমার নিজের জন্য কেন আশা করবােনা? তিনি বলেন, হে আল্লাহর বান্দা! তুমি তােমার নফসের সাথে আলাপ আলােচনা করা, শয়তানের ইচ্ছা, অবৈধ কামনা বাসনার আনুগত্য ও সময়ের হরকত ও আন্দোলন থেকে নিজকে বিরত রাখ, তাহলে তুমি নেককার হতে পারবে।

তুমি সিদ্দীক (সত্যবাদী) হতে পারবে

আর তুমি তােমার যাবতীয় ধ্যান ধারণা, চিন্তা চেতনার ক্ষেত্রে আল্লাহপাককে ভয় কর তাহলে তুমি সিদ্দীক (সত্যবাদী) হতে পারবে। যদি উল্লেখিত কোন অশুভ বস্তু তােমার উপর আক্রমন করে তাহলে তুমি পার্থিব উপকরণ, বসবাস স্থল, ভাই বন্ধু ও আশংকার স্থান সমূহ বর্জন কর তাহলে তুমি প্রকৃত মুহাজির হিসেবে গণ্য হতে পারবে। এর পরেও যদি তুমি ঐ সব অশুভ বিষয়ের কোন কিছুর শিকার হয়ে যাও তাহলে তুমি মহান আল্লাহর নিকট তাওবা কর, তাঁর নিকট ক্ষমা চাও, তাঁর নিকট অনুনয় বিনয় কর ও আশ্রয় চাও তাহলে তুমি মুমিন হতে পারবে ।

আর তুমি পবিত্রতা, রােজা, সালাত, ছবর, তিলাওয়াত, জিকর ও আল্লাহর নিকট গােনাহ থেকে মুক্তি ও ইবাদতের জন্য শক্তি কামনা এসব আমল সর্বদা করতে থাক। তাহলে তুমি যাবতীয় সমস্যা থেকে নিরাপদ থাকবে। আর যদি তুমি ঐ সব অশুভ অবস্থা ও শক্রতায় পরাজিত হও তাহলে ঈমানকে আশ্রয় স্থল হিসেবে ধারণ কর। যদি তুমি ঐ সব দ্বারা

প্রভাবান্বিত হও তাহলে তােমার ব্যাপারটা মহান আল্লাহর নিকট সােপর্দ কর। তিনি বলেন, আমি আমার উস্তাদকে অত্র হাদীসের মর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলাম যার অর্থ হলাে, মুমিন বান্দা তার নফসকে অপমানিত করেনা- এ দোষ হয় যে মানুষকে কোন কিছু দান বরা বা নর ও ও

কারণ সমূহের প্রেক্ষিতে

(১) দানিদের ভা, (5) মল পরিণ, (৩) সি/ প্রতি সম্মান প্রদর্শনকে নিকৃষ্ট মনে করা, ৩ নফস ও উযাণ কামনায় অগ্রাধিকার প্রদান করা। তিনি আরো বলেন, ‘তুমি কি জান (0, 4 [লাক,

কি চিকিৎসা যে গায়রুল্লাহর সাথে যাবতীয় সম্পর্ক , আচলপ (সাক পিচ্চি, হয়ে গেছে, তা সত্ত্বে মুশাহাদার রহস্য ও তায়িক দিক ল্য তার পর হয়নি। এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এ সমস্যার চিকিৎসা আল ৪টি । (১)

স্বীয় নফসকে মহান আল্লাহর উপর সেলে দেয়া মন গলে , গুণৰ সৰ কোন প্রকার বাধা ও বিপত্তি সংশ্লিষ্ট না হয়, (৬) নিজকে সঞ্চন অ্যৎ! হুকমের সামনে সােপর্দ করা যেখানে তার কোন প্রকার ই%) ৩. এরপ কেন অবশিষ্ট না থাকে। এ দু’টি চিকিৎসা হলাে বাতেনী। আর বাহ্যিক ক্ষেত্র , অংগ প্রত্যংগ সমূহকে শরীয়তের বিরােধীতা থেকে বিরত রাবা, ফরও ওয়াজিব গুলাে যথারীতি সম্পন্ন করা । অতঃপর জিকরের বৈঠকে গায়িকতার থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে আল্লাহ পাকের প্রতি মনােনিবেশ করা এবং তার স্মরণে লিপ্ত হওয়া।

মহান আল্লাহর এরশাদ

واذكر اسم ربك وتبتل اليه تبتیلا. (مزمل -۸)

তুমি তােমার রবের নাম জিকর কর এবং তার দিকে সম্পূর্ণ সুরে মনােনিবেশ কর । আর পাপাচার হতে দূরে থাকার ব্যাপারে কথা হলাে, তুমি যদি গুনাহ থেকে সম্পূর্ণ দূরে থাকতে ঢাও তাহলে তুমি বল-

سعود بك من عذابك يوم تبعث عبادك واعوذ بك من عاجل العذاب من سوء

العقاب وانك لغفور رحيم رب انى ظلمت نفسي ظلما

عرب فا الظالمين میرا واغفرلي وتب على لا اله الا انت سبحانك اني كنت

৭ । এ দোয়া পাঠ করবে যার অর্থ হলাে হে রব! আমি আপনার হাজার থেকে আপনার দরবারে আশ্রয় চাইতেছি ঐ দিনে যেদিন আপনি আপনার বান্দাদেরকে পুনঃজ্জীবিত করবেন। আর আমি আপনার নিকট পার্থিব জীবনের শাস্তি থেকে আশ্রয় চাইতেছি, আশ্রয় চাইতেছি হিসেব নিকেশের খাৱাৰী থেকে। নিশ্চয় আপনি দ্রুত হিসেব গ্রহণকারী এবং আপনি বড়ই অতএব, আপনি আমার তওবা কবুল করুন। আপনি ব্যত ‘ থার কোন মাবুদ নেই, আপনি যাবতীয় দোষ ত্রুটির উর্ণে, আমি অত্যাচার। প্রকার দুশ্চিন্তা ও মুসীবত স্পর্শ না করুক, আর তােমার আমলা কোন গুনাহ অবশিষ্ট না থাকুক তাহলে তুমি এ কথা বেশী নেশা করে বল- ও দয়াবান। হে রব! আমি বহু অত্যাচার করেছি সে । মাশীল যদি তুমি চাও যে, তােমার কলব কঠিন না হােক এবং তােমাকে কোন

سبحان الله العظيم لا اله الا الله. اللهم ثبت علمها إلى واغفرلي ذنبي واغفر

المؤمنين والمؤمنات. الحمد لله وسلام على عباده الذين اصطفی

অর্থাৎ হে রব! আপনি মহান পবিত্র, আপনি ব্যতীত আর কোন মাবুদ নেই। হে আল্লাহ! আপনি আপনার নৈকট্য লাভের ইলমকে আমার কলবে হির করুন। আমার অপরাধ ক্ষমা করে দিন এবং সমস্ত মুমিন নর-নারীদের

ক্ষমা করুন। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্যই নিবেদিত। সালাম তাঁর নবী রাসূলগণের প্রতি যাদের তিনি মনােনীত করেছেন- (মানুষের হেদায়েতের জন্য)

নাফরমানী থেকে রক্ষা

তিনি বলেন, বাহ্যতঃ যে ব্যক্তি যাবতীয় পাপাচার হতে বিচ্ছিন্ন হয়েছে এবং মনে প্রাণে দুনিয়ার মহব্বতকে জলাঞ্জলি দিয়েছে, অংগ প্রত্যংগকে নাফরমানী থেকে রক্ষা করেছে এবং অন্তরাত্মাকে মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে নিয়ােজিত করতে পেরেছে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে তার নিকট অসংখ্য অযাচিত নিয়ামত এসে যাবে সন্দেহ নেই। এবং তার জন্য এমন একজন হেফাজতকারী নির্বাচিত করবেন যিনি আল্লাহ পাকের পক্ষ হতে তাকে যাবতীয় বিপদাপদ থেকে রক্ষা করবেন এবং তার গােপন ভেদ ও রহস্যের মধ্যে তাকে স্থিতিশীল রাখবেন। আর মহান আল্লাহ সর্বাবস্থায় সর্বক্ষেত্রে ও কাজে তাঁর সাহায্যের হাত দ্বারা তাকে ধারণ করবেন। এখানে অসংখ্য অপরিমিত নিয়ামত বলতে ইলম, ইয়াকীন ও মারেফাতের কথা বুঝানাে হয়েছে।

এবং তিনি বলেন, আমি হজরত রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, ঐ ব্যক্তি সুন্নতের সঠিক পথ প্রাপ্ত হয়েছে যে মহান আল্লাহ ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছে এবং দুনিয়া থেকে বিমুখ হয়েছে ও আখেরাতো আহা |ট জন্য নিবেদিত হয়ে শাদা। আমি জিকে বললাম, তওবা ও এনাবত কি? তিনি বধােন, তাওবা হলাে ৩৫ থেকে বিরত হও|| আo এনাবত হলাে মহান আল্লাহর ইবাদতের দিকে বাঁপিয়ে পড়া। তিনি বলেন, যদি তুমি চাও তা জগতের কল্যাণ এবং মহান আল্লাহর ক্ষমা, দয়া, দোযখ থেকে মুক্তি ও বেহেশতে প্রবেশ করার মর্যাদা তাহলে গুনাহ বনি কর, আল্লাহ পাকের বিধানগুলাে সুন্দরভাবে বাস্তবায়ন কর ও উহার উপর সুদৃঢ় থাক, আল্লাহ পাকের নিকট সাহায্য প্রার্থনা কর, তার নিকট ক্ষমা চাও, তারই উপর ভরসা কর।

নিশ্চয় তিনি আল্লাহর উপর। ভরসাকারীদের খুবই পছন্দ করেন। জনৈক ব্যক্তি তাঁকে (উস্তাদকে) বললেন, তুমি ব্যাখ্যা দাও আমি কি ভাবে আল্লাহ পাকের উপর ভরসা করবাে এবং তাঁর পথে কিভাবে সুদৃঢ় থাকবাে আর তাঁর নিকট কিভাবে সাহায্য চাইব।

আল্লাহ পাকের নিকটই সাহায্য প্রার্থনা

তিনি উত্তর দিলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ পাক ব্যতীত অন্য কিছুর সাথে জড়িয়ে গেল অথবা উহার প্রতি আকর্ষিত হলাে, অথবা আস্থাবান হলাে তাকে আল্লাহ পাকের উপর ভরসাকারী বলা যায় না। তাওয়াক্কুল হলাে কলব, নফস, আকল, রূহ, পরমাত্মা, বাহ্যিক অংগসমূহ ও বাতেনী বৃত্তি সমূহ এসমুদয় বিষয়কে একমাত্র মহান আল্লাহর উপর ন্যস্ত করা, অন্য কিছুর উপর নয়। ইতেসাম বিল্লাহর অর্থ হলাে, আল্লাহকে মজবুত রূপে ধারণ করা এবং তাঁরই নিকট অনুনয় বিনয় করা এবং তাঁরই মুখাপেক্ষী হওয়া। অতএব, ইতেসামের ক্ষেত্রে তুমি একমাত্র আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন বস্তুর কোন ক্ষমতা, শক্তি, ইচ্ছা, ফায়সালা ও প্রভাব আছে বলে মনে করবে বরং সব কিছু তাঁরই দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে বলে বিশ্বাস করবে । আল্লাহ পাকের নিকটই সাহায্য প্রার্থনার অর্থ হলাে তুমি জ্ঞান বিদ্যা ও উহার আলােকে কাজ কর্ম, কোন কিছু আরম্ভ ও শেষ এসব কিছুকে তাকে পাওয়ার মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করবেনা বরং সবকিছুকে মহান আল্লাহর ইলম, কুদরত, ইচ্ছা।

পাপাচার বর্জনের অর্থ

ও কলেমায়ে কুনের মধ্যে ডুবিয়ে দিবে। যেমন তাঁর (ওলামায়ে হক্কানী) দুনিয়া আখিরাতকে অদৃষ্টের মধ্যে ডুবিয়ে দিয়েছেন এবং অদৃষ্টকে তাঁর ফায়সালার মধ্যে এবং ফায়সালাকে তার ইলমের মধ্যে ডুবিয়ে দিয়েছেন। পাপাচার বর্জনের অর্থ হলাে, এমন ভাবে উহা তরক করা যে উহাকে সম্পূর্ণ ভুলে যাওয়া। প্রকৃত বর্জন হলাে বিবর্জিত বস্তুকে তুলে। যাওয়া। আর এটা কামালাতের নিদর্শন। যদি তুমি এ মর্যাদায় পৌছাতে না পার তাহলে চেষ্টা সাধনার মাধ্যমে সর্বদা পাপ থেকে বিরত থাকি। কেননা, মহান আল্লাহ ঐসব লােকের পরিশ্রমকে নষ্ট করেন না যারা কষ্ট সার্বণ মাধ্যমে তাদের আমলকে সুন্দর করে থাকেন। ভালভাবে বুঝে নেয়া ইত্যাদি। যখন আমলের ক্ষেত্রে কোন প্রকার ক্রটি ।

মহান আল্লাহর বিধানগুলাে সুন্দর ভাবে বাস্তবায়নের পন্থা হলাে জিকর ফিকর, সাবধানতা অবলম্বন, নেকীর কাজে এগিয়ে যাওয়া, বিধানাগুলে বিচ্যুতি, ভুল ভ্রান্তি বা উদাসীনতা দেখা দিবে তখন তুমি তােমার নফসে

অবিচার ও বে-আদবীর জন্য মহান আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাইবে। কারণ, এই তােমার চরম মূর্খতার পরিচয়। আর এ কথা সত্য যে, যে ব্যক্তি কোন যন কাজ করবে বা নফসের প্রতি অত্যাচার করবে অতঃপর মহান আল্লাহর নি= ক্ষমা চাইবে সে অবশ্যই মহান আল্লাহকে ক্ষমাশীল ও দয়াবান হিসেবে পাবে।

নফসের সাথে জিহাদ- নফসের সাথে জিহাদ – নফসের সাথে জিহাদ

আরো গল্প পড়ুন

Leave a Reply