বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শুভাগমন পর্ব ২
সৃষ্টিজগতেও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নুবুওয়াত একটি স্বকত ব্যাপার। যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন
گنتی وادم بين الروح والجسد
আমি তখনও নবী ছিলাম যখন আদমের দেহে আত্মা সংযােজিত হয় নাই । অপর এক হাদীসে বর্ণিত হয়েছে।
إلى عبد الله وائم التبيين وادم المنجد في طينه
নিশ্চয়ই আমি তখন হতে আল্লাহর বান্দা এবং শেষ নবী যখন আদম মাটির খামিরা ছিল। এবং তখনও আদম পানি ও মাটির মধ্যে ছিল এ কথাটি লােকমুখে;খ্যাত হলেও তা শুদ্ধ নয়। মূলত তাই দুইটি ভাষ্য দিক দিয়ে এক। এ সব বর্ণনা দ্বারা বুঝা যায় যে, হযরত আদম সৃষ্টির পূর্বেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র নূর সৃষ্টি হয়েছিল ।
যদিও আল্লাহর ইলমে সমস্ত নবীর নুবুওয়াত স্থিরকৃত ছিল, কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নুবুওয়াত ছিল ফেরেস্তা ও আত্মার জগতে পরিচিত ।
আর অন্য নবীগণের নুবুওয়াত ছিল অপরিচিত । এমনকি আলিম সমাজ আরও বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র আত্মা সে জগতে অন্য নবী রাসূলগণের আত্মার প্রশিক্ষণকার্যে নিয়ােজিত ছিল।আল্লাহরইলম সম্পর্কে তাদিগকে জ্ঞান দান করত ।
এ ধরণীতে শুভাগমনের সময় নবী যেমন হযরত আদমের বংশধরদের প্রতি প্রেরিত হয়েছেন, তেমনি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও প্রেরিত হয়েছেন। বস্তুত তিনি শুধু আল্লাহর জানেই নন, বাস্তবেও নবী এবং রাসূল ছিলেন। সম্ভবত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী আমরাই সর্বশেষ তবে অগ্রবর্তী দ্বারাও পূর্ববর্তী অর্থের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে ।
কেহ কেহ বলেন, প্রতিশ্রুতি দিবসেও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ পদ মর্যাদা বিদ্যমান ছিল। যদিও তার আবির্ভাব ঘটেছে হযরত আদমের পৃষ্ঠদেশ হতে তার দেহে আত্মা সংযােজনের পর।
কেননা, অধিকাংশ হাদীস দ্বারা এ অর্থই প্রতীয়মান হয়। কিন্তু হযরত আদমের পৃষ্ঠদেশ হতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নির্গমন হয়েছে সকল আত্মার নির্গমনের পূর্বে ।
বিভিন্ন হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, যখন নূরে মুহাম্মদী সৃষ্টি হল এবং তাঁর নূর হতে অন্যান্য সমস্ত নবী রাসূলের নূরের বিকাশ হল তখন আল্লাহ তা’আলা নূরে মুহাম্মদীকে নির্দেশ দিলেন এ সব নুরের প্রতি লক্ষ্য কর