শবে বরাতের ফযীলত

শাবান মাসের নেয়ামত

0
518
শবে বরাতের ফজিলত
শবে বরাতের ফজিলত

শবে বরাতের ফযীলত

শবে বরাতের ফযীলত– বিসমিল্লহির রহমানির রাহিম।আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় তার কোন শরিক নেই।আমরা এক আল্লাহর ইবাদত করি।মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন সেই ইবাদাতকে সহজ ও সৌন্দর্‍্য প্রিয় করে তোলেছেন। পাঁচ ওায়াক্ত নামাজের পাশাপাশি অতিরিক্ত ইবাদাতের মাধ্যমে অতি সহজে তার নৈকট্য লাভ করার সহজ রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছেন।  আর সেই সহজ রাস্তার মধ্যে একটি হলো শবে বরাত।এটি এমন একটি ইবাদাত যা হাজার রাতের ইবাদাতের চেয়ে উত্তম।

ফজিলত- শবে বরাত এর

এ রাতের একটি বড় ফজিলত হলো,(এ রাতে মানুষের প্রতি আল্লহর তায়ালার রহমত, বরকত ও ক্ষমা অবতীর্ণ হয়)। হযরত আলী (রা) হতে বর্ণিত, মহানবী (স) ইরশাদ করেছেন “শাবানের মধ্যবর্তী রাতে দুনিয়ার আকাশে আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ পৌছানো হয়,এ রাতে আল্লাহ তায়ালা সকল মুসলমানকে ক্ষমা করে দেন। কিন্তু মুশরিক, হিংসুক, আত্বীয়তার সম্পর্কচ্ছেদকারী এবং ব্যবিচারকে ক্ষমা করেন না। (গুনিয়াতুত তালেবীন,পৃঃনং ৩৫৯)

শবে বরাতের বৈশিষ্ট্যঃ

এ রাতের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এ রাতে মাগরিবের পর হতেই মহান আল্লআহ তা’য়ালার (বিশেষ মনোনিবেশ ও কৃপাদৃষ্টি)দুনিয়ার আকাশে অবতীর্ণ হয় এবং সাধারন ঘোষনা দেওয়া হয়, কোন ক্ষমা প্রার্থনাকারী আছে কি? যাকে আমি ক্ষমা করে দেব। কোন রিজিক প্রার্থনাকারী আছে কি? আমি যাকে রিযিক প্রধান করব। কোন বিপদগ্রস্ত আছে কি? যাকে আমি বিপদ মুক্ত করব। এমন কি কোন ব্যক্তি রয়েছে?………?

শবে বরাতের ফলাফলঃ

শাবান মাসের মধ্যবর্তী সময় অর্থাৎ শাবান মাসের ১৫তারিখ শবে বরাত। মহানবি (স) বলেছেন শাবান মাস হলো পরীক্ষার মাস। এ মাসে গোটা বছরের আমলসমূহ আল্লাহর দরবারে পেশ করা হয় এবং সে মোতাবেক ভবিষ্যতের নির্দেশাবলী প্রদান করা হয়। মহানবি (স) ইরশাদ করেছেন, এ মাস আমাদের পুরষ্কারের মাস। এ জন্য এ মাসটিতে বিশেষভাবে নেক আমল করা প্রয়োজন। মহানবি (স) শুধুমাত্র মুখে বলে শেষ করেন নি, বরং নিজে আমল করে বাস্তবে দেখিয়ে দিয়েছেন।

শবে বরাত এর রোযাঃ

এ মাসের কল্যান ও বরকত থেকে বঞ্চিত না হওয়ার জন্য এ অনুমিতি দেওয়া হয়েছে যে, শাবানের প্রথম অর্ধাংশে রোযা রাখবে এবং শেষ অর্ধাংশে বিশ্রাম গ্রহন করবে। যেন রমজানের রোযার প্রাণ ফিরে পায়। তাই যদি কোন সবল ও শক্তিমান ব্যক্তি, যার সাস্থ্য ভাল, ধারাবাহিক দুই মাস রোযা রাখলেও যার সাস্থ্য ও শক্তিতে কোন প্রকার প্রিভাব পরবেনা, তাকে ধারাবাহিক শাবান ও রমজানের রোযা রাখার অনুমতি দেওয়া যাবে। (ফাযাইলুল আইয়াম ওয়াশ শুহুর, পৃঃনং ১০৩)

Read More

Wikipedia

Leave a Reply